Recents in Beach

আদা খাওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে আমাদের শরীলে আশ্চর্য পরিবর্তক শুরু হয়

 


টানা একমাস প্রতিদিন আদা খেলে কি ঘটবে আপনার শরীলে? জানেন পৃথিবীর কোনো মসলার সাথে আদার শ্রেষ্ঠত্বের  তুলনা হয় না। কারণ আদার রয়েছে অনেক গুন।তবে আদার এসব উপকার পেতে হলে আদা খাওয়ার সঠিক নিয়ম আপনাকে জানতে হবে।আমরা সবাই কম বেশি আদার সাথে পরিচিত।আদা এমন একটি উদ্ভিদ মূল যা আমরা মসলা এবং ভেষজ ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করে থাকি।মূলত প্রাচীন গ্রীস এবং রোমানরা এটি বেশি ব্যবহার করত।কারণ এটির ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে বেশ ভালো ধারণা ছিল তাদের। বর্তমানে আমরা বিভিন্ন মসলার উপকারীতা সম্পর্কে জানি কিন্তু সকল মসলা থেকে সবচেয়ে বেশি উপকারী মসলা আদার গুনাগুন সম্পর্কে অনেকেই উদাসীন।আদা খাওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যেই আমাদের দেহের হজমক্রিয়ার বিশেষ কিছু কার্যক্রম শুরু হয়ে যায়। অর্থাৎ খাবার হজম করতে এবং পেটের গোলমাল সামলাতে আদার রস সরাসরি কাহ করে।এবং তাৎহ্মণিকভাবে কাজ করে। সেই সাথেও পেটের গ্যাসের  সমস্যা থাকলেও এটিও দূর করতে থাকে।আদা খাওয়ার ৩০ মিনিট পর এর ভিতরে অবস্থিত থাকা জিংক এবং ম্যাগনেসিয়াম  শরীলের রক্তচাপ নিয়ন্তণে আনতে শুরু করে। সেই সাথে প্রাকৃতিক পেইন কিলার বা ব্যাথা নাশক হিসেবে কাজ করতে শুরু করে আদা। ফলে বাত জনিত ব্যাথা ও মাথা ব্যাথা থেকে মুক্তি মিলবে। 

আদা খাওয়ার ১ ঘন্টা পরে এর মধ্যে থাকা এন্টি- ব্যাকটেরিয়াল আমাদের শরীল থেকে জীবানু ধ্বংস করতে শুরু করে। এবং সেই সাথে শরীলের প্রতিরোধ হ্মতা গড়ে তুলবে। ঠান্ডাজনিত সমস্যা আপনার দারে কাছেও ঘেষবে না।  মুখের রুচি বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে আদা খেলে। আদা খাওয়ার ৬ ঘন্টা পরে আমাদের শরীলের প্রয়োজনীয় পুষ্টি শোষণ বৃদ্ধি করবে। ফলে নিয়মিত আদা খেলে শরীলের হাড়ের জয়েন্ট  ব্যাথা দূর হয়। এবং সেই সাথে কোষ্টকাঠিন্য সমস্যা থাকলে দূর্ত ভালো হয়ে যায়।আদা খাওয়ার ১২ ঘন্টা পর এর নির্যাস আমাদের শরীলের কোষে গ্লুকোজের শোষণ হ্মতা বৃদ্ধি করবে যা ডায়াবেটিস নিয়ন্তন ও রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্তণে কাজ করে।আদা খাওয়ার ২৪ ঘন্টা পরে আপনার শরীলে testosterone হরমোন এর মাত্রা বাড়তে শুরু করবে। যা বর্তমান সময়ে প্রত্যেকটা পুরুষের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি হরমোন। কারণ আদার মধ্যে রয়েছে এন্টি- অক্সিডেন্ট যা আপনার শরীলের হরমোন বাড়াতে সাহায্য করে।আদা সেবনের এক সপ্তাহ পর আপনার রক্তের কোলেস্টরল মাত্রা কার্যকর ভাবে কমতে শুরু করবে।সেই সাথে আপনার শরীলের অতিরিক্ত মেদ কমতে শুরু করবে। ফলে আপনার শরীলের অতিরিক্ত ওজন ধীরে ধীরে নিয়ন্তনে চলে আসবে।


 আদা সেবনের ১৫ দিন পর আপনার শরীলে পুরোপুরি রোগ প্রতিরোধ হ্মতা গড়ে তুলতে সহ্মম হবে। আর আপনার ত্বকে বয়সের ছাপ কমতে শুরু করবে।এটি আদার গুনাগুন এর মধ্যে অন্যতম। যে আদা একদিন খেলেও এর উপকারীতা দীর্ঘ ১৫-২০ দিন শরীলে কার্যকর থাকে। সেই সাথে আপনার লিভারকে শক্তিশালী করে তুলবে।আর আমাদের শরীলে থাকা ক্যান্সারের জীবানুকে ধ্বংস করে দেয় আদা। অথাৎ এটি আমাদের শরীলে ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।নিয়মিত আদা সেবনের ২১ দিন পর আপনার মাথার চুল ঝরেপড়া পুরোপুরি ব্ন্ধ করবে। চুলের সাস্থ্য ভালো রাখতেও আদার বিকল্প নেই।এছাড়াও মাথার ত্বক ভালো রাখে খুশকির উপাদান ব্ন্ধ করে। এর কারণ, এর মধ্যে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ বি ও সি রয়েছে যেগুলো আপনার চুলের বাড়তি সুরহ্মা দেয়। সেই সাথে আপনার মাথার ত্বক,মুখের ত্বক ও ব্রণ ওঠা ব্ন্ধ করে।আদা খাওয়ার ৩০ দিন পর আপনার শরীলের রক্তশূন্যতা দূর করবে। সেই সাথে হৃদযন্তের কাজ ঠিক রাখবে। ফলে আপনাট হৃদরোগের ঝুঁকি কমবে।পাশাপাশি দাঁতের মাড়িকে শক্ত করবে গ্যাস্টিকের সমস্যা ও পুরোপুরি নির্মূল করবে। এছাড়াও শরীলের অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা দূর করবে আদা,সে সাথে আপনার কন্ঠনালী সুরহ্মীত রাখবে।এই শীতে খুব বেশি কাশি আসলে বুকে কফ জমে গেলে এক টুকরো আদা খেয়ে নিন। অথবা চায়ের সাথে খেয়ে নিন  যেভাবে ইচ্ছা আপনি কাঁচা আদাটা খেয়ে নিন।আদা খাওয়া সঠিক নিয়ম আমরা জানি না বলে এর থেকে আমরা সর্বোচ্ছ উপকারটা আমরা পাইনা। তাই সঠিক প্রক্রিয়া আর পরিমানমতো আদা সেবন করে আরও অধিক পরিমানে উপকৃত হতে পারেন। সাধারণত চার জনের একটি পরিবারের একদিনের বিভিন্ন রান্নায় ৫ -১০ গ্রাম আদার ব্যবহার হয়।তাই বেশিরভাগ পুষ্ট উপাদানের গুনাগুন  ভোগ করতে আমাদের সময় লেগে যায়। চাইলে আপনি চায়ের সাথে আদা খেতে পারেন।সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা কিছু খেয়ে আদা খেতে পারেন।তবে খালি পেটে খেলে যদি আপমার সমস্যা না হয়ে থাকে তাহলে আপনি খালি পেটে আদা খেতে পারেন সবচেয়ে উপকার পাবেন।আদা কুচি করে শুকিয়ে জিনজার বানিয়ে রেখে প্রতিদিন অল্প করে খেতে পারেন।যদি আপনার চা খাওয়ার অব্যাস না থাকে তা হলে এক গ্লাস গরম পানিতে আদা কুচি করে কেটে ৩/৪ মিনিট রেখে সেই পানি পান করুন। বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা শুকনো কাঁচা যেকোনো ভাবে প্রতিদিন ৪ গ্রাম আদা খেতে বলেন এর বেশি যেন না হয় সেই দিকে খেয়াল রাখতে বলেছেন। তবে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে গর্ভবতী মহিলাদের হ্মেরতে প্রতিদিন ১ গ্রাম আদা  খাওয়া যেতে পারে। তাহলে আজ থেকে অব্যাস করুন, পৃথিবির সবচেয়ে শক্তিশালি এই মসলাটি খাওয়া শুরু করুন।










Post a Comment

0 Comments