কোষ্ঠকাঠিন্য জন্ডিস এজমা ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পেতে আপেল খান

লিভারের সকল রোগ  দূর করতে আপেল কিভাবে খাবেন আপনি কী জানেন? কোষ্টকাঠিন্য জন্ডিস এজমা ডায়াবেটিস শরীলে থাকবে না।যদি আপনি সঠিক পদ্ধতিতে আপনি আপেল খেতে পারেন।আপেলকে বলা হয় কবিরাজি ঔষধ।এর কারণ হলো আপেলের উপকারীতা সম্পর্কে বলে শেষ করা যাবে না।যুক্তরাষ্ট্রে একটি কথা প্রচলিত আছে দৈনিক একটি আপেল খান ডাক্তার থেকে দূরে থাকুন। কিন্তু আপেল খেতে হবে একটা নিদিষ্ট সময়ে।যখন তখন আপেল খেলে বরং শরীলের হ্মতি হয়। খুবি পরিচিত এই ফলটির উপকারিতার পাশাপাশি এর অপকারিতা শরীলের চরম হ্মতি হতে পারে।এই ফলটি শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই খান। তাই আজকের এই টপিকটি সকলেরই জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আজ আপেল সম্পর্কে যে তিনটি প্রশ্নের উত্তর জানাবো,  তা হলো

 ১/ আপেল খেলে কোন কোন রোগ হবে না?   

২/ দিনের কোন সময় আপেল খেলে উপকার পাবেন?  

৩/ আপেল খেলে কেন বিষক্রিয়া হয়?

আপেল খেলে কোন কোন রোগ আল্লাহর রহমতে একে বারে ভালো হবে। প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হয় না আগেই বলেছি। সকলেই জানেন যে আপেলের অনেক উপকারীতা। কিন্তু আপেলের আরও অনেক গুলো বেপার আছে যা সকলেরই অজানা।যদি আপনি মাইগ্রেনে ভূগে থাকেন তাহলে অবশ্যই একটি করে আপেল আপনাকে খেতে হবে।এর ফলে মাথা ব্যাথা মাথা ধরা একদম সেরে যায়।শ্বাস কষ্ঠ বা অ্যাজমা রোগে ভূগা মানুষেরা আপেল খেতে পারেন।ঔষধের চেয়ে বেশি কাজ করবে। বিশেষ করে লাল আপেল এবং তার খোসা অ্যাজমা বা হাঁপানির জন্য উপকারি। মনে রাখবেন, এই অ্যাজমা হাঁপানির উপকার পেতে হলে কিন্তু আপনাকে খোসা সহ আপেল খেতে হবে।কেননা যদিও অধিকাংশ লোকেরা খোসা সহ আপেল খায় । ইদানিং দেখা যাচ্ছে কিছু মানুষ আপেলের খোসা ফেলে দিচ্ছে তাহলে কিন্তু উপকারীতা পাওয়া যাবে না।এর কারণ হলো অ্যান্টঅক্সিডেন্ট প্রাকৃতিক অ্যান্টিহিস্টামিন এই সব গুলো উপাদান খোসা সহ আপেলের মদ্যে রয়েছে।এছাড়া আপেলে রয়েছে অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান যা অ্যাজমার সময় শ্বাস কষ্ঠ কমাতে সাহায্য করে। দিনের কোন সময় আপেল খেলে উপকার পাবেন আসলে বিকেলে ও রাতের বেলায় আপেল খেলে হজম অন্তের সমস্যা হয়। এ কারণে পেটের যে কোনো ধরনের রোগ হতে পারে। এছাড়াও সারাদিন বমি বমি ভাব লাগতে পারে। অতএব আপেল খাওয়ার উপযুক্ত সময় হলো সকাল বেলা। সকালে নাস্তার ৩০ মিনিট আতে অথবা পরে আপেল খেতে হবে।মনে রাখতে হবে যে, কোনো টক ফলের সঙ্গে আপেল খেতে যাবেন না।যেমন ধরেন কাঁচা আমের সাথে আপেল খেতে যাবেন না। আপনি আমলকি খেতে যাচ্ছেন আপেল খাবেন না।অথবা টক তেতুল বা আচার খাচ্ছেন সাবধান ভুলেও তার সাথে আপেল খাবেন না।যেমন আনারস লেবু মাল্টা বা কমলা এগুলোর সাথেও কিন্তু আপেল খাওয়া যাবে না এতে একই ধরণের সমস্যা হবে। এছাড়া যে কোনো খাবার খাওয়ার সাথে সাথে আপেল খাবেন না। খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে অথবা পরে আপেল খাবেন। তাহলে আপেল থেকে সবচেয়ে বেশি উপকার আপনি পাবেন।

আসুন এবার জেনে নেই কখন আপেল খেলে বিষক্রিয়া হতে পারে। আপেল খেলে তখনই বিষক্রিয়া হবে যখন আপনি ভালো করে না দুয়ে আপেল খাবেন।প্রিয় দর্শক, কেন এই কথাটা বলছি বা অনেকে ভাবতে পারেন আরে আপেল তো মানুষ ধুয়েই খাই।কিন্তু হ্যা বাজারে যে আপেলটা পাওয়া যায়, যে গুলোতে বিভিন্ন কেমিক্যাল স্প্রে করা থাকে পাশাপাশি দীর্ঘ পথ জার্ণি করে বাংলাদেশে আসে।যেহেতু বাংলাদেশে আপেল গাছ বা বাগান নেই।  তাই এই লম্বা সময়ের মধ্যে আপেলের স্কিনে বিভিন্ন ধরণের ক্রিয়া থাকে। যেহেতু সাস্থকর এই ফলের দেহে বিষের বসবাস। তাই আপনাকে এটা ধুয়ে খেতে হবে। আপেলের বীজে সায়ানাইড রয়েছে যা আপনার মৃত্যুর কারণ হতে পারে তবে গবেষক রা বলেছেন আপনি আপেল কাওয়ার সময় যদি এসকল বীজ খেয়ে ফেলেন কিছু হবে না।মূলত কেউ যদি ২০০ আপেলের বীজ সংগ্রহ করে খেয়ে ফেলেন এক সাথে তখন কিন্তু ভয়ম্মর প্রভাব পরবে তার উপর। আর এমনটা হবেও না। তবে যাই হোক আপেলের বীজ ফেলে দেওয়াই ভালো। এছাড়াও কৃত্রিম উপায়ে আপেলের ফলন বাড়াতে এবং কীটপতঙ্গের হাত থেকে রহ্মা পেতে, বাগানিরা আপেলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কীটনাশক ব্যবহার করে।এবং একথা প্রমাণিত।     আমাদের শরীলের যে কীটনাশক এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মারাত্মক হ্মতি হয়, কিডনি লিভার থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ অর্গ্রান কিন্তু ড্যামেজ হয়ে যায়।এই সকল কীটনাশক থেকে। এজন্য আপেল খাওয়ার আগে অবশ্যই ৩০ মিনিট লবণপানিতে অথবা সাদা ভিনেগার দিয়ে ভিজেয়ে রাখুন। এছাড়া আপেলের গায়ে লেগে থাকা মোম অ্যালার্জির সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। কেননা এই লেগে থাকা মোমের মধ্যে সালফার - ড্রাই - অক্সাইড থাকে। যার প্রভাবে  গলা খুসখুস করা বমি বমি ভাব কিংবা বমি ডায়ারিয়া সমস্যা দেখা দিতে পারে।তো যাই হোক সুজা কথা হচ্ছে, আপেল শুধুমাত্র তখনি আপনার জন্য বিষক্রিয়া তৈরী করবে, যদি আপনি এটা বাজার থেকে এনে দুয়ে না খান। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে এখন থেকে বাজার থেকে আপেল কিনে এনে ৩০ মিনিট স্বাভাবিক পানি দেখে নিতে পারেন।অথবা ভিনেগার পানিতে রেখে দিতে পারেন। অথবা লবণ পানিতে রেখে দিতে পারেন।সোজা কথা পানিতে ৩০ মিনিট বিজিয়ে আপেলটা খান। আপনি শুধু উপকারী পাবেন। কোন হ্মতি হবে না। কিন্তু ঐ বাজার থেকে এনে ডাইরেক মুখে ডুকিয়ে দিবেন না।