Recents in Beach

আম জাম কাঁঠাল ও দেশি কোন ফল কতটুকু খাবেন




এখন ফলের মৌসুম চলছে নিশ্চয় অতি উৎসাহের সাথে ফল খাচ্ছেন। কোন ফলে কি উপকার ও কতটুকু খেলে হ্মতিকর হতে পারে এই পুরো বিষয়ে জানাব আপনাকে। বাংলাদেশের গ্রীষ্ম কালিন কিছু ফলের সমন্ধে জেনে নেই।১/ আম, বাংলাদেশে এপ্রিল মাস থেকে কাঁচা আম পাওয়া যায় তবে পাকা আম আসতে শুরু করে মে মাস থেকে। সাধ পুষ্টি ও গন্ধের জন প্রিয় একটি ফল হলো আম।বাংলাদেশের কৃষি তথ্য সার্ভিস অনুযায়ী আয়রন ও সোডিয়ামের ঘাটতি পূরণে বেশ কার্যকরী আম। 


আম রক্তের হ্মতিকারক কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় ডায়াবেটিসের সঙ্গে লড়াই করে ক্যান্সার কোষ কে মেরে ফেলতে সাহায্য করে। আমে রয়েছে উচ্চ পরিমান প্রোটিন যা জীবানু থেকে দেহকে সুরহ্মা দেয় আমে রয়েছে ভিটামিন এ যা দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখে।চোখের চার পাশের শুষ্ক ভাব ও দোর করে। পাকা আম কাঁচা আমের তুলনায় শর্করার পরিমান বেশি থাকে।কাঁচা আম দেহের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। পুষ্টিবিদ সৈয়দা শারমিন আক্তার বলেছেন পাকা আমে গ্লুকোজ বেশি থাকার কারণে অল্প খেলেই ডায়াবেটিস রোগীদের  জন্য সমস্যা হতে পারে। কিন্তু কাঁচা আম খাওয়া ডায়াবেটিস রোগিদের জন্য কোনো হ্মতি নয়। স্ট্রোকের রোগী ও নিউরোলজিক্যাল বিভিন্ন সমস্যা থাকলে তাদের জন্য কাঁচা আম খুবি উপকারী।২/ কাঁঠাল, পুষ্টিবিদরা বলেছেন বাংলাদেশের কাঁঠাল গরিব দের আমিষ হিসেবে পরিচিত। কাঁচা থেকে শুরু করে সব ভাবেই খাওয়া যায় এই ফলটি। কাঁঠালে শর্করার পরিমান বেশি, আর যেহেতু শর্করা বেশি, এনার্জি লেভেলটাকে ভালো রাখতে পারে।এতে আছে থায়ামিন রিবোফ্লাভিন ক্যালসিয়াম পটাসিয়াম আয়রন সোডিয়াম জিঙ্ক নায়াসিন নামক বিভিন্ন প্রকার পুষ্টি উপাদান। কাঁচা কাঁঠালে পাকা কাঁঠালের তুলনায় ফাইবারের পরিমান অনেক বেশি।তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কাঁচা কাঠাল খাওয়া উপকারি। কাঁটাল বেশি খেলে শরীলের ওজন বেড়ে জেতে পারে কারণ এতে  শর্করা অনেক বেশি। পুষ্টিবিদ সৈয়দা শারমিন আক্তার বলেছেন, ভাত কমিয়ে কাঁঠাল খেলে লাভ আছে নয়তো হিতে বিপরীত হতে পারে। এই কাঁঠাল কারো কারো হ্মেরতে হজম বৃদ্ধি করে আবার উল্টোটা ও দেখা যায়।কারো কারো পেট ফুলে যায় হজমে সমস্যা ও হয়। ৩/ লিচু,লিচুতে রয়েছে খাদ্য শক্তি শর্করা আমিষ ক্যালসিয়াম লোহ ভিটামিন সি এটা টিউমার রোধে বেশ ভূমিকা রাখে।তবে লিচু যেন বেশি না খাওয়া হয় সে দিকেও নজর দিতে বলেন পুষ্টিবিদেরা । বেশি লিচু খেলে বদহজম দেখা দিতে পারে। 






এছাড়া খালি পেটে লিচু খাওয়া ও কিন্তু ঠিক নয়। লিচুতে হাইপোগ্লাইসিন নামক এক ধরনের রাসায়নিক থাকে শরীলে শর্করা তৈরি রোধ করে। খালি পেটে অতিরিক্ত লিচু খেলে শিশুদের শরীলে শর্করার পরিমান অত্যান্ত কমে গিয়ে মৃত্যুর কারণ হয়ে দাড়ায়। ৪/ জাম, জাম চরীলের হাড় কে মজবুত করে ডায়রিয়া ও আলসার নিরাময়ে ভূমিকা রাখে।জাম ত্বক টান টান করতে সৃতি চক্তি বাড়াতে পারে আর ডিটক্সিফাইয়ার হিসেবেও কাজ করে। বিভিন্ন গবেষনায় দেখা গেছে জামের নির্যাস ক্যান্সার সৃষ্টি কারি ফি রেডিকেলের কাজে ও বিকিরণে বাদা দেয়।অরুচি ভাব ও বোমি ভাব নিরাময়ে জামের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। পুষ্টিবিদ সৈয়দা শারমিন আক্তার বলেছেন জাম খুব ভালো একটি ফল।জামের সমস সবারই এই পল খাওয়া উচিত।২৫০ মিলি কাপ পরিমান জাম কেউ নিদ্ধিধায় খেতে পারেন তবে আদা পাকা জাম খাওয়া উচিত নয়। খালি পেটে জাম খেলে কারে কারে কেরতে এসিডিটির সমস্যা দেখা যেতে পারে। 




এছাড়া জাম খাপয়ার পর দুধ খাওয়া ও মানা করেছেন। এতে বদ হজমের সমস্যা হতে পারে বলে  মত দেন পুষ্টিবিদেরা। ৫/ পেয়ারা,বাংলাদেশে একন সারা বছর দরেই পেয়ারা পাওয়া যায়। তবে কাজী পেয়ারার থেকে দেশী পেয়ারা পুষ্টিগুনে অসাধারণ।এখনতো আর সেই দেশী পেয়ারা পাওয়া যায় না। বেশির ভাগ মানুষের জন্য এই ফলটি উপকারী। পেয়ারার বিচি কোষ্ট কাঠিন্য দেখা দিতে পারে আবার কারো কারো হ্মেরতে বদ হজম ও দেখা দিতে পারে।৬/ তরমুজ,তরমুজে রয়েছে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট যা স্টেজ কমিয়ে দেয়। এছারা ফুসফুস ক্যান্সার কোলনের ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।তরমুজে প্রচুর পাবি তাকে।তাই কিডনি রোগীরা এই পল খেতে পারেন। আর পানি বলেই যে  ইকটু  পরপর তরমুজ খাবেন সেটাও শরীলের জন্য উপকারী নয়।অতিরিক্ত তরমুজ খেলে বদহজম ও অ্যাসিডিটি তৈরি হতে পারে। নিজের শারীরিক চাহিদা বোঝে অথবা একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ফল খান তাতে শরীলও মন দুটিই ভালো থাকবে।







Post a Comment

0 Comments