Recents in Beach

ঘুম থেকে উঠে চারটি করে কাঠবাদাম খেলে কী ঘটে আমাদের দেহে আসুন জেনে নেই

 


প্রতিদিন সকালে ৪ টি করে কাঠ বাদাম খেলে শরীল  থেকে গুনে গুনে দশটি রোগ নিরাময় হবে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা প্রতিদিন সকালে চারটি কাঠবাদাম কে কোটি টাকার ঔষধ বলে থাকেন। কিন্তু তার পূর্বে আপনাকে নিয়মা  টা জানতে হবে।  যা আমরা আজকের এই টিপিকে জানব। অথাৎ কাঠ বাদাম কোন পদ্ধতিতে খেলে শরীল থেকে ১০ টি রোগ বিদায় নেয় তার নিয়ম জানা উচিত।ফুড নিউট্রিশনিস্টরা বলেন একজন মানুষ তার তারুণ্য কে দরে রাখতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত রাখতে প্রতিদিন চারটি কাঠবাদাম খাওয়া উচিত।আসুন জেনে নেই কাঠবাদামে কি এমন উপকারী জিনিস আছে যার কারণে মাত্র চারটি কাঠবাদাম শরীল থেকে ভয়ম্কর সব রোগ কে বিদায় দিবে।প্রিয় দর্শক সর্বপ্রথম বলছি কাঠবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ওমেগা থ্রি ফাটি এসিড।যা সাধারণত কম খাবারেই রয়েছে আর রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই, পটাশিয়াম, জিংক,ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম। এর ফলে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি শরীলে প্রবেশ করার মাত্রই শরীলের সকল সমস্যা যেন ম্যাজিকের মত দূর হয়ে যায়। তাই আসুন জেনে নেই কাঠবাদাম খাওয়ার মাত্রই আপনার শরীলে কী কী ম্যাজিক ঘটবে? 


১/সর্বপ্রথম যে উপকার সেটা হচ্ছে কাঠবাদামে থাকা প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম এবং পটাশিয়াম শরীলের ভেতর থেকে সব ধরনের ব্যাথা কে গায়েব করে দিবে।সর্বপ্রথম হাড়ের ব্যাথা মাসল পেইন এই গুলো দূর হয়ে যাবে কোনো ব্যাথাই থাকবে না নিয়মিত চারটি কাঠবাদাল প্রতিদিন সকালে শুরু করে দিন। 

২/ যাদের হজম হ্মতা কম,বদহজম সমস্যা হয় বেশি তারা তাদের শরীলের মেটাবলিজম পাওয়ার বা হজমহ্মতা বাড়াতে চান তাহলে অবশ্যই নিয়মিত চারটি কাঠবাদাম খাবেন। কারণ কাঠবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমানের ফাইবার যেটা পেটকে পরিষ্কার করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।এর পরে আসুন সবচেয়ে বেশি যে রোগটার উপকার করে সেটা হচ্ছে ডায়াবেটিস রোগীদের ব্লাড সোগার একদম কন্ট্রোল করে ফেলে।বলা হয়ে থাকে কেউ যদি সঠিক ভাবে কাঠবাদাম খেয়ে থাকে তা হলে তার ডায়াবেটিস নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না।কাঠবাদামে সোডিয়ামের পরিমান অনেক কম কিন্তু পটাশিয়ামের  পরিমান  অনেক বেশি।  সুতরাং বুঝতেই পারছেন রক্তচাপ একদম নিয়ন্তনে থাকবে।এছাড়া এতে যা ম্যাগনেসিয়াম এবং ফলিক এসিড রয়েছে তা রক্ত জমাট বাঁধার মত  রোগকে দোর করতে পারে।  যার ফলে হার্ড ও ভালো থাকবে কাঠবাদাল খেলে আপনার হাই কোলেস্টেরল একদম নিয়ন্তনে চলে আসবে। তাই হার্ড এটাক নিয়ে চিন্তা করতে হবে না ইনশাআল্লাহ। অত্যান্ত স্বাস্থ্যকর এই খাবারটি আজই শুরু করুন ১৫-২০ দিনের মধ্যে বুঝতে পারবেন আপনার সৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে ও মনোযোগ শক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেকোনো জিনিস অত্যান্ত মনোযোগ দিয়ে করতে পারবে ইনশাআল্লাহ। তো আসুন সঠিক পদ্ধতিটি এখন জেনে নেই কারণ সঠিক পদ্ধতি না জানলে আপনি কখনওই এর থেকে সর্বোচ্ছ উপকার পাবেন না।প্রাপ্তবয়স্করা একদিনে চারটি করে কাঠবাদাম খাবেন আর শুশুরা যাদের বয়স ১ বছরের কম তারা। সেই শিশুরা কাঠবাদাম যদি খাওয়া চান তাহলে একটি কাঠবাদামের অর্ধেক গুঁড়ো করে খাওয়াতে পারেন।তবে তা দুধের সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে মনে রাখবেন কাঠবাদামের সর্বোচ্ছ উপকারীতা পেতে বাদামকে বিজিয়ে খেতে হবে। খোশা সহ রাতের বেলায় কাঠ বাদাম বিজিয়ে রাখবেন তারপর সকাল বেলা ফজরের নামাজের পর সেই বাদামকে ভালে করে চিবিয়ে খেতে হবে যেটা বিজিয়ে রেখেছেন। সকাল বেলা নাস্তা করার ১০-১৫ মিনিট আগে আপনি এই বাদাম ভালো করে চিবিয়ে খাবেন। যদি আপনি নাস্তা করার আগে অন্য কোনো সাপ্লিমেন্ট যেমন: আদা রসুন বা অন্য কোনো সাপ্লিমেন্ট যদি গ্রহণ করুন তা হলে তার সঙ্গে  এই কাঠবাদামকেও যোগ করে দিতে পারেন। যদি আপনার ডায়াবেটিস না থাকে তা হলে এই কাঠবাদাম খাওয়ার সময় অল্পপরিমান গুড় বা চিনি মিশিয়ে নিতে পারেন। একটা সতর্ক বার্তা বলে রাখছি যারা বয়স্ক তারা কাঠবাদাম খেতে গিয়ে শ্বাসনালীতে কাঠবাদাম যেন আটকে না যায়।এতে বিপদ হতে পারে। তাই সবচেয়ে ভালো হয় কাঠবাদাম গুড়ো করে তা দুধের সাথে মিশিয়ে খাওয়া এতে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।











Post a Comment

0 Comments